বৃহস্পতিবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।
একই সাথে এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে দাখিল করা অভিযোগপত্রের প্রধান অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী ও চার নম্বর অভিযুক্ত রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন আসামির জামিন আবেদন শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।
যাদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- প্রাপ্ত বয়স্ক তিন নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ছয় নম্বর আসামি মো. মুসা, অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই নম্বর আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, তিন নম্বর আসামি আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, ছয় নম্বর আসামি মো. নাইম, নয় নম্বর আসামি রাকিবুল হাসান নিয়ামত, ১০ নম্বর আসামি সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহ এবং ১২ নম্বর আসামি প্রিন্স মোল্লা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক কিসলু জানিয়েছেন, আজ বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা সাত আসামিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়াও জামিনে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে কারাগারে থাকা আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।